ডাচ বাংলা ব্যাংক এইচএসসি স্কলারশিপ ২০২২ DBBL HSC Scholarship

আপনি কি ডাচ বাংলা ব্যাংক এইচ এস সি স্কলারশিপ ২০২১ আবেদন করতে আগ্রহী? আপনি কি ডাচ বাংলা ব্যাংকের এইচএসসি স্কলারশিপ ২০২১ পেতে চান? তাহলে এই পোষ্টটি আপনার জন্য। এই পোস্টটি আপনারা খুব মনোযোগ দিয়ে পড়লে পোষ্টের মাধ্যমে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এইচ এস সি স্কলারশিপ ২০২১ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পাবেন।

সেই সাথে জেনে নিতে পারবেন কিভাবে আবেদন করলে আপনি ডাচ-বাংলা ব্যাংক এর বৃত্তির জন্য মনোনীত হবেন। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে এটি আপনার জন্য জেনে নেওয়া খুবই জরুরি। যদি আপনার ফলাফল আশানুরূপ হয় এবং ডাচ বাংলা ব্যাংকের চাওয়া অনুসারে হয় তাহলে অবশ্যই আপনি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের আবেদন করবেন।

এক্ষেত্রে আপনি যদি গরীব এবং মেধাবী হন, তাহলে আপনার জন্য সুবর্ণ সুযোগ। এই টাকা দিয়ে আপনি আপনার পড়ালেখার খরচ সুন্দরভাবে চালিয়ে নিতে পারবেন। তাহলে চলুন নিচে গিয়ে ডাচ বাংলা ব্যাংক এইচএসসি স্কলারশিপ ২০২১ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করি।

আমাদের দেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। এই দেশের সকল এর আর্থিক অবস্থা একরকম নয়। হয়তো একটি পরিবারের সন্তান খুব সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠছে। অনেক পরিবারে ঠিকমত দু’বেলা খেতে পারছেনা। কিন্তু পড়ালেখা এমন একটা জিনিস যা কাউকে থামাতে পারে না। একজন শিক্ষার্থী যদি সুন্দর ভাবে পড়ালেখা করে এবং ভালো ফলাফল অর্জন করে তাহলে তার পড়ালেখা কখনোই থেমে থাকবে না। সেই উদ্দেশ্যে ডাচ-বাংলা ব্যাংক সব সময় শিক্ষার্থীদের জন্য এগিয়ে এসেছে।

প্রতিবছর ১০২ কোটি টাকা বৃত্তি প্রদান করছে। শিক্ষার্থীদের এর মাধ্যমে এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া আর থেমে থাকছে না। বাংলাদেশে এমন অনেক উদাহরণ আছে যারা ডাচ বাংলা ব্যাংকের এইচএসসি স্কলারশিপ গ্রহণ করে জীবনে সফল হয়েছে। তো আপনি যদি গরীব এবং মেধাবী পরিবারের সন্তান হয়ে থাকেন, তাহলে এটা তো আপনার জন্য সুবর্ণ সুযোগ। আপনি কেন এই সুযোগ হেলায় নষ্ট করবেন? আপনার রেজাল্ট যদি আশানুরূপ হয় তাহলে অবশ্যই ডাচ বাংলা ব্যাংক এইচএসসি স্কলারশিপ ২০২১ আবেদন করবেন।

ডাচ বাংলা ব্যাংক এইচএসসি স্কলার্শিপ সার্কুলার ২০২১

ডাচ বাংলা ব্যাংক এইচএসসি স্কলার্শিপ সার্কুলার কি ডাউনলোড করতে চান? এটি এখন আপনারা পাবেন না। কারণ ডাচ বাংলা ব্যাংক ফাউন্ডেশন এইচএসসি স্কলারশিপ সার্কুলার এখনো প্রকাশিত হয়নি। প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে আমাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করে দিব। তখন আপনারা ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। ডাচ বাংলা ব্যাংক এইচএসসি স্কলার্শিপ সার্কুলার ২০২০ এক্সাম এর শিক্ষার্থী যেভাবে আবেদন করতে পারবে, যত পয়েন্ট হলে আবেদন করতে পারবে, প্রতি বছরে কত টাকা পাবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া আছে।

আপনারা কি সেই তথ্য জানতে চান? তাহলে পরবর্তীতে যখন ডাচ বাংলা ব্যাংক এইচএসসি স্কলার্শিপ সার্কুলার ২০২১ থেকে ডাউনলোড করে নিবেন। সেই সার্কুলারটি ডাউনলোড করে নিলেই সকল বিষয় সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত ধারনা পাবেন। সেই সাথে যদি আবেদন করতে কোন ধরনের সমস্যা হয় আমাদের জানাবেন। আবেদন সংক্রান্ত যাবতীয় জটিলতা আমরা সমাধান করে দেওয়ার চেষ্টা করব।

অতীতের দেওয়া সার্কুলার অনুযায়ী, ডাচ বাংলা ব্যাংকের আবেদনের যোগ্যতা উল্লেখ করা হলোঃ-

অতীতের দেওয়া তথ্য অনুসারে যারা সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়াশোনা করেন এবং ইতোমধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাদের জন্য জিপিএ ৪.৮ থাকতে হবে। চতুর্থ বিষয় বাদে একজন শিক্ষার্থীর যদি এই জিপিএ থাকে, তাহলে একজন শিক্ষার্থী ডাচ-বাংলা ব্যাংক এর এইচএসসি স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবে।

সকল বিভাগের জন্যই জিপিএর একই রকমের হবে। আর সিটি কর্পোরেশনের বাইরে শিক্ষার্থীদের জন্য যারা ইতোমধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন,তাদের জিপিএ ৪.৫ থাকলেই হবে। তাদের ক্ষেত্রেও চতুর্থ বিষয় বাদে এই জিপিএ থাকলেই হবে। সকল বিভাগের ক্ষেত্রেই একই পরিমাণ জিপিএ থাকলেই আবেদন করতে পারবে।

ডাচ বাংলা ব্যাংক এইচএসসি স্কলার্শিপ সার্কুলার ২০২১

২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা বসতে পারেনি। কারণ মহামারী করোনাভাইরাস এর কারণে সকল কিছু পন্ড হয়ে যায়। তবে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ সময় বসিয়ে রাখার পরে এইচএসসি ২০২০ এ অটো পাস দেওয়া হয়। সেই ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা ডাচ বাংলা ব্যাংক এইচএসসি স্কলারশিপ ২০২০ এ আবেদন করতে পারবে। আপনারা কি ডাচ বাংলা ব্যাংক এইচএসসি স্কলার্শিপ সার্কুলার ২০২০ পেতে চান? তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন।

আমাদের ওয়েবসাইটে এটা ছবি আকারে দেওয়া আছে। আপনারা এক ক্লিকের মাধ্যমে সারকুলারটি ডাউনলোড করতে পারবেন। এই সার্কুলারটি ডাউনলোড করলে আপনারা অনেক তথ্য জানতে পারবেন। কারণ গত বছরের সাথে ২০২১ সালের তথ্যগত কোন পার্থক্য হবে না । শুধু আবেদনের সময়সীমা পার্থক্য হবে। তাই যারা এইচএসসি ২০২০ সালের পরীক্ষার্থী তারা ডাচ বাংলা ব্যাংক স্কলার্শিপ সার্কুলার ২০২০ ডাউনলোড করে নিতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইট থেকে।

কিভাবে আবেদন করবেন

অনেকেই ডাচ বাংলা ব্যাংকের এইচএসসি স্কলারশিপ ২০২১ এর জন্য আবেদন করবেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না সঠিকভাবে কি কি তথ্য পূরণ করলে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এইচ এস সি স্কলারশিপ এর জন্য মনোনীত হওয়া যায়। তাদের জন্য এই পোস্টে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব।

ডাচ বাংলা ব্যাংকের এইচ এস সি স্কলারশিপ এর জন্য আপনার প্রথম শর্ত হলো নির্ধারিত জিপিএ থাকতে হবে। এই জিপিএর চাইতে কম জিপিএ হলে আপনারা আবেদন করতে পারবেন না। সেই আবেদন আপনার গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই সিটি কর্পোরেশনের জন্য ৪.৮ এবং সিটি কর্পোরেশনের বাইরে ৪.৫ জিপিএ থাকলেই আপনারা আবেদন করবেন।

আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ ভাবে অনলাইনে সম্পন্ন হবে। অনলাইনে আপনারা সঠিক তথ্য পূরণ করবেন। সঠিক তথ্য পূরণের পর আপনাদের হাতে একটি ইউজার আইডি আসবে। সেই আইডি আপনাদের পরবর্তীতে কাজে লাগবে।

ডাচ বাংলা ব্যাংক এইচ এস সি স্কলারশিপ ২০২২ এ আবেদনের জন্য আপনাদের dutchbanglabank.com এর ওয়েবসাইটে যেতে হবে। সেখানে এইচ এস সি স্কলারশিপ ২০২১ এ উল্লেখ প্রবেশ করতে হবে। সেখানে আবেদনের জন্য আপনাদের আবেদন ফরম চলে আসবে। সেখানে নিম্নোক্ত তথ্য দিয়ে আপনারা আবেদন পত্র পূরণ করবেন।

আবেদনের সময় আপনাদের নিজেদের নাম, স্থায়ী ঠিকানা, বর্তমান ঠিকানা, পিতার নাম, মাতার নাম, তাদের পেশা উল্লেখ করতে হবে। তার সাথে আপনাদের এসএসসি এবং এইচএসসি মার্কশিট স্ক্যান কপি করতে হবে। আপনারা যে কম্পিউটারের দোকানে করবেন সেখানেই কাগজপত্র গুলো নিয়ে গেলেই হবে। তার সাথে আপনাদের সদ্য তোলা ছবি ব্যবহার করতে হবে। আপনার নিজের পিতা এবং মাতার ছবি ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে পিতা-মাতার কেউ একজন মৃত হলে তাদের অংশে ছবি সংযুক্ত করার দরকার নেই।

গতানুগতিকভাবে অনেকেই যেটা ভুল করে, সেটা হল পিতার পেশা। পিতা হয়তো বিদ্যালয়ের শিক্ষক। কিন্তু শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করে তার পিতা একজন কৃষক। এক্ষেত্রে যখন তথ্য ভেরিফিকেশন হয়, তখন তথ্য ভুল বলে প্রমাণিত হলে সেই বৃত্তি বাতিল হবে। তাই আপনারা সঠিক তথ্য প্রদান করবেন। আর পিতা আয়ের অংশে আপনারা নির্ধারিত টাকার অংক লিখবেন। পরিবারে ভাই-বোনের সংখ্যা এবং তারা অতীতে এই প্রতিষ্ঠান থেকে কোন বৃত্তি পেয়েছে কিনা তা উল্লেখ করতে হবে। যদি পিতা বা মাতা কেউ মৃত হয়, তাহলে তা উল্লেখ করবেন।

ডাচ বাংলা ব্যাংকের প্রাথমিক আবেদন শেষ হলে আপনাদের একটি কম্পিউটার থেকে আবেদন কপি করে নিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনারা ফোনে প্রাইমারি সিলেকশন লিস্ট সুযোগের জন্য এসএমএস পাবেন। পরবর্তীতে আপনাদের বিভিন্ন কাগজপত্র নিয়ে জেলা পর্যায়ের ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড এর ম্যানেজারের সঙ্গে অভিভাবকসহ দেখা করতে হবে। সেই ধাপ শেষ হলে আপনারা নির্ধারিত দিনে ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বৃত্তি এওয়ার্ড লেটার সংগ্রহ করবেন। সেই বৃত্তি এওয়ার্ড লেটার এ যে সকল তথ্য দেওয়া আছে সেগুলো নিয়ে জেলা পর্যায়ের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অফিসে গিয়ে একটি একাউন্ট খুলতে হবে। পরবর্তীতে অ্যাকাউন্ট নম্বর অঙ্গীকারনামা এবং অন্যান্য কাগজপত্র সহ ডাচ বাংলা ব্যাংক ফাউন্ডেশন কুরিয়ার করে পাঠাতে হবে। সকল তথ্য যদি সঠিক হয় তাহলে আপনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা পেয়ে যাবেন।

ডাচ বাংলা ব্যাংক ফাউন্ডেশনের বৃত্তি যদি আপনারা পেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই একটি সুখবর। এর বৃত্তির টাকা আপনার লেখাপড়ার পথকে সুগম করুক। এই কামনা করি টাকার জন্য কারো যেন লেখাপড়া বন্ধ না হয়ে যাই। সেই জন্য সকলের প্রতি রইল দোয়া এবং ভালোবাসা রউল৷ ডাচ বাংলা ব্যাংকের বৃত্তি সংক্রান্ত কোনো তথ্য যদি জানতে আগ্রহী হন, তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আমরা অবশ্যই আপনাদের তা জানিয়ে দেব।


Posted

in

by

Tags: